Editors Choice

3/recent/post-list

বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তে চার শুল্ক স্টেশনে বাণিজ্য বন্ধ

বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তে চার শুল্ক স্টেশনে বাণিজ্য বন্ধ

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চারটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, যা সীমান্তের ওপারে বিক্ষোভের জের ধরে ঘটেছে। তবে দেশের প্রধান স্থলবন্দরগুলোতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে। ৫ আগস্টের পর ভারতে ভিসা প্রদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, স্থলবন্দরগুলোর ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

বন্ধ হয়ে যাওয়া শুল্ক স্টেশনগুলো হচ্ছে মৌলভীবাজারের চাতলাপুর ও বটুলি এবং সিলেটের জকিগঞ্জ ও শেওলা। ২৭ নভেম্বর থেকে চাতলাপুর ও ২৮ নভেম্বর বটুলি শুল্ক স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে, গত সোমবার থেকে বন্ধ রয়েছে জকিগঞ্জ ও শেওলা শুল্ক স্টেশনগুলো।

বছরের শুরু থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি কিছুটা কমলেও, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। চলতি বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নয়টি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির পরিমাণ ৫৯ কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কম।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতীয় বাণিজ্যের জন্য ঘোষিত ২২টি স্থলবন্দরের মধ্যে বর্তমানে ১১টি কার্যকর, আর বাকি ৫টি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এই পাঁচটির মধ্যে কিছু বন্দরে শুধুমাত্র আমদানি, আবার কিছুতে শুধুমাত্র রপ্তানি কার্যক্রম চলত।

বিক্ষোভের কারণে শুল্ক স্টেশনগুলো বন্ধ

মৌলভীবাজারের চাতলাপুর ও বটুলি শুল্ক স্টেশনের বিপরীতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য রয়েছে, যেখানে স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলোর আন্দোলনের কারণে ২৭ নভেম্বর থেকে চাতলাপুর এবং ২৮ নভেম্বর থেকে বটুলি শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ভারতীয় আসামের শ্রীভূমির (করিমগঞ্জ) সীমান্তে গত সোমবার থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনও বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, শেওলা শুল্ক স্টেশনের ওপারে ভারতের সুতারকান্দি এলাকায় হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা ‘বাংলাদেশ চলো’ কর্মসূচি চালালে, সেখানে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানানো হয়। ফলে গত সোমবার থেকে শেওলা শুল্ক স্টেশনও বন্ধ হয়ে যায়।

আমদানি কমেছে, রপ্তানি বেড়েছে

দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে গত বছর থেকে এ বছর পণ্য আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। যেমন, যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৫৮ কোটি ৮৮ লাখ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৭৭ কোটি ১৮ লাখ মেট্রিক টন। তবে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে, যেমন, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি বছরের চার মাসে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮৯ হাজার ৮৫৮ মেট্রিক টন।

ভিসা সংকটের প্রভাব

ভারতের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে যাত্রীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। চলতি বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৮ লাখ ৯২ হাজার ১১৭ জন মানুষ বাংলাদেশ ও ভারত পারাপার করেছেন, যা গত বছর ছিল ১২ লাখ ১৩ হাজার ৯১৫ জন।

কুমিল্লার বিবিরবাজার, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা কমেছে। ৫ আগস্টের পর ভারত থেকে বাংলাদেশে ভিসা প্রদান বন্ধ হওয়ায়, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আশঙ্কায় যাত্রীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে।

এদিকে, লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে, কারণ বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে অনেক ব্যবসায়ী এসব পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলছেন না।

Post a Comment

2 Comments

  1. ভারতকে বয়কট করা উচিত!!!

    ReplyDelete
  2. ধিক্কার ভারতকে

    ReplyDelete